বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫:২ অনুপাত নীতিমালা অনুসরণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের শুনানি করে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আইনজীবী হুমায়ন কবির বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিধিমালায় বেসরকারি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত সব প্রভাষক ৮ বছর পর সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা রয়েছে।
২০১০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রের এক অংশে বলা হয় ‘এমপিওভুক্ত প্রভাষকগণ প্রভাষক পদে এমপিওভুক্তির ৮ (আট) বছর পূর্তিতে ৫:২ অনুপাতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। এতে মোট পদ সংখ্যা বাড়বে না, অর্থাৎ ৫ জনে ২ জন করে সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পরিপত্রের এই অংশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে রিট করেন বগুড়ার দরগাহাট ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বঞ্চিত মতিয়ার রহমানসহ ৭ জন প্রভাষক। সেই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারির নির্দেশনা দেন।
No comments:
Post a Comment