গ্রাম্য আদালতের গঠন :
দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় ছোট খাটো বিরোধ বা বিবাদ খুবই দ্রুত নিষ্পতি করার উদ্দেশ্যে ২০০৬ সালে ‘গ্রাম্য আদালত আইন’ পাশ করা হয় ।
গ্রাম্য আদালতের এখতিয়ার আধীন এলাকা:
গ্রাম্য আদালত আদেশ শুধু নিদিষ্ট ইউনিয়ানের এখতিয়ার ভুক্ত এলাকার জন্য প্রযোজ্য হবে ।
গ্রাম্য আদালতের সদস্য :
গ্রাম্য আদালত আইন, ২০০৬ এর ৫ ধারা অনুসারে গ্রাম্য আদালত গঠিত হবে । এক জন চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষের মনোনীত ২ জন করে ৪ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম্য আদালত গঠন করা হবে। তবে সদস্যদের মনোনীত ২ জন সদস্যের মধ্যে ১ জন অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে ।
আদেশের বিরোদ্ধে রিভিশন:
যদি কোন ব্যক্তি গ্রাম্য আদালতের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়, তাহলে নিধারিত সময়ের মধ্যে আদেশের বিরোদ্ধে এখতিয়ারবান সহকারি জজ আদালতে রিভিশন করতে পারবে । এক্ষেত্রে রিভিশন আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে সহকারি জজ তা নিষ্পতি করবেন ।
গ্রাম্য আদালত অবমাননার শাস্তি:
কোন ব্যক্তি যদি গ্রাম্য আদালতের আদেশ অবমাননা করে, তাহলে অনধিক ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ।
আইনজীবি নিয়োগ:
গ্রাম্য আদালতে বিচার কার্য পরিচালনার জন্য কোন আইনজীবি নিয়োগ দেয়ার বিধান রাখা হয় নি।
লেখকঃ এনামুল হক
Department of Law
Dhaka International University, Bangladesh.
No comments:
Post a Comment